প্রেম, সম্পর্ক এবং বিয়ে—এই শব্দগুলো জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর যখন স্বাধীনভাবে নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার প্রশ্ন আসে, তখন প্রায়ই “কোর্ট ম্যারেজ” শব্দটি শোনা যায়। সিনেমা, নাটক বা লোকমুখে প্রচলিত এই ধারণাটি নিয়ে আমাদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল এবং একই সাথে মারাত্মক কিছু ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন, কোর্টে গিয়ে একটি স্ট্যাম্পে সই করলেই বুঝি বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু আসলেই কি তাই? কোর্ট ম্যারেজ কি আইনত বিয়ে?
এই আর্টিকেলে আমরা কোর্ট ম্যারেজের আসল পরিচয়, এর আইনি ভিত্তি, সঠিক পদ্ধতি এবং এ সম্পর্কিত সকল সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্য হলো, আপনাকে একটি স্বচ্ছ এবং নির্ভুল ধারণা দেওয়া, যাতে আপনি জেনে-বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
কোর্ট ম্যারেজ বলতে আমরা যা বুঝি: একটি প্রচলিত ভুল ধারণা
সাধারণত, কোর্ট ম্যারেজ বলতে মানুষ যা বোঝে তা হলো—কোনো আইনজীবী বা নোটারি পাবলিকের সামনে ২০০ বা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি হলফনামা (Affidavit) সম্পাদন করা। প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েই এই হলফনামায় স্বাক্ষর করে ঘোষণা দেন যে তারা প্রাপ্তবয়স্ক, স্বেচ্ছায় একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং ভবিষ্যতে কোনো পক্ষ থেকেই এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করা হবে না।
কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় ভুল ধারণাটি লুকিয়ে আছে। আইন অনুযায়ী, এই হলফনামাটি কোনো বিয়ে নয়। এটি কেবল একটি ঘোষণাপত্র। এই হলফনামা বিয়ের একটি সহায়ক প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, কিন্তু এটি নিজে থেকে কোনো আইনত সিদ্ধ বিয়ের জন্ম দেয় না। শুধুমাত্র এই কাগজের উপর ভিত্তি করে সংসার করা আইনত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি আপনাকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কোনো আইনি অধিকার প্রদান করে না।
তাহলে আইনত বিয়ে কোনটি?
বাংলাদেশে বিয়ে মূলত ধর্মীয় আইন এবং রাষ্ট্রীয় নিবন্ধন আইনের অধীনে সম্পন্ন হয়। আপনার বিয়েটি আইনত বৈধ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ধর্মীয় রীতিনীতি পালন এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তা নিবন্ধন করা আবশ্যক। আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিভিন্ন ধর্মের ক্ষেত্রে আইনত বিয়ের প্রক্রিয়াটি কী।
মুসলিমদের জন্য
বাংলাদেশে মুসলিমদের বিয়ে “মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একটি মুসলিম বিয়ে আইনত বৈধ হতে হলে কিছু অপরিহার্য শর্ত পূরণ করতে হয়:
- ইজাব ও কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ): একজন সাক্ষীর সামনে এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব (ইজাব) দেবেন এবং অন্য পক্ষ তা গ্রহণ (কবুল) করবেন।
- সাক্ষী: কমপক্ষে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
- দেনমোহর: স্ত্রীর প্রতি সম্মান ও保障স্বরূপ স্বামীর পক্ষ থেকে দেনমোহর নির্ধারণ ও পরিশোধের অঙ্গীকার করতে হয়।
- বিবাহ নিবন্ধন: উপরের শর্তগুলো পূরণ করে একজন সরকার-নিবন্ধিত কাজীর (বিবাহ নিবন্ধক) মাধ্যমে বিয়েটি নিবন্ধন করা আইনত বাধ্যতামূলক। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে কাজী একটি “নিকাহনামা” বা কাবিননামা প্রদান করবেন, যা আপনার বিয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী আইনি দলিল।
সুতরাং, মুসলিমদের ক্ষেত্রে শুধু হলফনামা নয়, বরং কাজীর মাধ্যমে নিকাহ সম্পন্ন করে কাবিননামা গ্রহণ করাই হলো আইনত বিয়ে।
হিন্দুদের জন্য
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় প্রথা ও রীতিনীতি (যেমন: সপ্তপদী, যজ্ঞ, সিঁদুর দান) অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। পূর্বে হিন্দু বিয়ের কোনো নিবন্ধন ব্যবস্থা ছিল না, যা বিভিন্ন আইনি জটিলতা তৈরি করত। এই সমস্যা সমাধানে “হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২” প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, হিন্দু বিয়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়, তবে ঐচ্ছিক। কিন্তু আইনগত সুরক্ষার জন্য (যেমন: পাসপোর্ট, ভিসা, সন্তানের নাগরিকত্ব, বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে) বিয়ে নিবন্ধন করা অত্যন্ত জরুরি এবং বুদ্ধিমানের কাজ।
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও ভিন্ন ধর্মে বিয়ের ক্ষেত্রে
যারা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান নন, অথবা যারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের দুজন মানুষ বিয়ে করতে চান, তাদের জন্য বাংলাদেশে রয়েছে “বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২” (Special Marriage Act, 1872)। এটিই মূলত বাংলাদেশের একমাত্র সিভিল ম্যারেজ বা আইনগত বিয়ের পদ্ধতি, যা কোনো ধর্মীয় রীতির উপর নির্ভরশীল নয়।
এই আইনের অধীনে বিয়ে করতে হলে:
- নির্দিষ্ট এলাকার ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে নোটিশ প্রদান করতে হয়।
- নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর (কিন্তু ৩৬ দিনের মধ্যে) তিনজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রার বিয়ে সম্পন্ন করেন।
- রেজিস্ট্রার একটি বিবাহ সনদ বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রদান করেন, যা আইনত চূড়ান্ত দলিল।
“কোর্ট ম্যারেজ”-এর আইনি ভিত্তি ও গুরুত্ব
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, যদি হলফনামা বিয়ে না হয়, তাহলে মানুষ এটা করে কেন? এর গুরুত্বটাই বা কী?
আগেই বলা হয়েছে, হলফনামা বিয়ে নয়, তবে এটি একটি সহায়ক আইনি নথি। এর কিছু নির্দিষ্ট গুরুত্ব রয়েছে:
- আইনি সুরক্ষা: প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে যখন পরিবারের অমতে বিয়ে করে, তখন প্রায়ই মেয়ের পরিবার ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের মতো মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এক্ষেত্রে, নোটারিকৃত হলফনামাটি আদালতে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা যায় যে, মেয়েটি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে এবং তাকে কেউ অপহরণ করেনি। এটি পুলিশি হয়রানি থেকে তাৎক্ষণিক সুরক্ষা দেয়।
- ঘোষণাপত্র: এটি মূলত স্বামী-স্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি আইনি ঘোষণা যে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
- সহায়ক দলিল: নিবন্ধিত কাবিননামা বা বিবাহ সনদের পাশাপাশি এই হলফনামাটি থাকলে আপনার বিয়ের আইনি ভিত্তি আরও মজবুত হয়।
কোর্ট ম্যারেজ করার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি
আপনি যদি আইনত সুরক্ষিত একটি বিয়ে সম্পন্ন করতে চান, যা সাধারণত “কোর্ট ম্যারেজ” নামে পরিচিত, তবে আপনাকে নিচের ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। শুধু একটি ধাপ অনুসরণ করলে আপনার বিয়ে অসম্পূর্ণ এবং আইনত থেকে যাবে।
ধাপ ১: বয়স ও সম্মতি নিশ্চিতকরণ সর্বপ্রথম নিশ্চিত করুন যে বিয়ের জন্য আইনগত বয়স আপনাদের হয়েছে। “বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭” অনুযায়ী, ছেলের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। এর কম বয়সে বিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। দুজনেরই পূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় সম্মতি থাকতে হবে।
ধাপ ২: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ বিয়ের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র অপরিহার্য। যেমন:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট।
- উভয়ের ২-৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ধাপ ৩: হলফনামা সম্পাদন (ঐচ্ছিক কিন্তু সহায়ক) একজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়ে ২০০-৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি হলফনামা তৈরি করুন। এতে আপনাদের পরিচয়, বয়স এবং স্বেচ্ছায় বিয়ের ঘোষণা স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। এরপর একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামাটি সত্যায়িত (Notarized) করে নিন। মনে রাখবেন, এটি বিয়ের প্রথম ধাপ, শেষ নয়।
ধাপ ৪: ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন করা (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ) এটিই বিয়ের মূল পর্ব।
- মুসলিম হলে: একজন সরকার-নিবন্ধিত কাজীকে ডেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে দেনমোহর ধার্য করে “ইজাব-কবুল” সম্পন্ন করুন।
- হিন্দু হলে: পুরোহিতের মাধ্যমে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করুন।
- ভিন্ন ধর্মে হলে: “বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২” অনুযায়ী রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করুন।
ধাপ ৫: বিবাহ নিবন্ধন (চূড়ান্ত আইনি ধাপ) এটি আপনার বিয়েকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়।
- মুসলিমদের ক্ষেত্রে, কাজী সাহেব নিকাহ পড়ানোর সাথে সাথেই বিয়ে নিবন্ধন করে নিকাহনামা বা কাবিননামা প্রদান করবেন। এটি বুঝে নিতে ভুলবেন না।
- হিন্দুদের ক্ষেত্রে, ঐচ্ছিক হলেও নিকটস্থ নিবন্ধকের কার্যালয়ে গিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করে নিন।
- বিশেষ আইনের অধীনে বিয়ে হলে রেজিস্ট্রার আপনাকে বিবাহ সনদ (Marriage Certificate) প্রদান করবেন।
এই পাঁচটি ধাপ সম্পন্ন হলেই আপনার বিয়ে আইনত শতভাগ সুরক্ষিত এবং বৈধ হবে।
বিস্তারিতঃ কোর্ট ম্যারেজ করার সম্পূর্ণ নিয়ম
কোর্ট ম্যারেজ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: শুধুমাত্র হলফনামা দিয়ে কি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করা যাবে?
উত্তর: আইনত না। যদিও অনেকে এমনটি করে থাকেন, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কাবিননামা বা বিবাহ সনদ ছাড়া আপনার স্ত্রী হিসেবে কোনো আইনি অধিকার (যেমন: ভরণপোষণ, দেনমোহর, সম্পত্তির উত্তরাধিকার) প্রতিষ্ঠিত হবে না। যেকোনো সময় আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
প্রশ্ন ২: কোর্ট ম্যারেজ করতে মোট কত খরচ হয়?
উত্তর: খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
- হলফনামার জন্য স্ট্যাম্প খরচ: ৩০০ টাকা।
- আইনজীবীর ফি: ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
- নোটারি পাবলিকের ফি: ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা।
- মুসলিম বিয়ের নিবন্ধন ফি: কাবিননামার দেনমোহরের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল (প্রতি হাজারে ১২.৫০ টাকা)।
- কাজীর ফি: আলোচনা সাপেক্ষ। সব মিলিয়ে, একটি পূর্ণাঙ্গ আইনি বিয়ে সম্পন্ন করতে ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা বা তার বেশি খরচ হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া কোর্ট ম্যারেজ করা যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, আইন অনুযায়ী ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক (মেয়ে ১৮, ছেলে ২১) হলে তাদের নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের অনুমতির আইনত কোনো প্রয়োজন নেই। তবে সামাজিক ও পারিবারিক দিকগুলোও বিবেচনায় রাখা উচিত।
প্রশ্ন ৪: কোর্ট ম্যারেজ থেকে ডিভোর্স নেওয়া কি কঠিন?
উত্তর: ডিভোর্সের প্রক্রিয়া নির্ভর করে আপনার বিয়ে কোন আইনের অধীনে হয়েছে তার উপর, হলফনামার উপর নয়। মুসলিম হলে মুসলিম আইন অনুযায়ী, হিন্দু হলে হিন্দু আইন অনুযায়ী এবং বিশেষ আইনের অধীনে বিয়ে হলে সেই আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
উপসংহার
পরিশেষে, “কোর্ট ম্যারেজ কি আইনত বিয়ে?”—এই প্রশ্নের সহজ এবং চূড়ান্ত উত্তর হলো: না। প্রচলিত অর্থে যা কোর্ট ম্যারেজ, অর্থাৎ শুধু হলফনামা সম্পাদন করা, তা কোনোভাবেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও আইনত বৈধ বিয়ে নয়। এটি বিয়ের একটি সহায়ক নথি মাত্র।
একটি বিয়েকে আইনত বৈধ এবং সুরক্ষিত করতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় রীতি মেনে (মুসলিমদের ক্ষেত্রে কাবিন এবং অন্যদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রথা) রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করতে হবে। কাবিননামা বা বিবাহ সনদই আপনার বিয়ের একমাত্র এবং চূড়ান্ত আইনি দলিল। তাই আবেগের বশে বা ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুধু একটি স্ট্যাম্পে সই করে জীবন শুরু করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রয়োজনে সর্বদা একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনার নতুন জীবন শুরু করুন।
এই বিষয়ে আপনার আরও কোনো প্রশ্ন আছে? অথবা আপনার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান? নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান। সঠিক আইনি সহায়তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।